[১] শহরে মুকীম হওয়া। ❁ 

[২] সুস্থ হওয়া, অসুস্থের উপর জুমা ফরয নয়। অসুস্থ দ্বারা এটাই উদ্দেশ্য যে, জুমা মসজিদ পর্যন্ত যেতে অক্ষম অথবা মসজিদে গেলে রোগ বৃদ্ধির কিংবা দেরীতে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অতিশয় বৃদ্ধ ব্যক্তি অসুস্থ ব্যক্তির হুকুমের অন্তুর্ভূক্ত। 





[৩] স্বাধীন হওয়া, গোলামের উপর জুমা ফরয নয়। তার মুনিব তাকে (জুমা আদায়ে) বাধা দিতে পারবে। ❁

[৪] পুরুষ হওয়া, ❁ 

[৫] প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া, ❁

[৬] বিবেকবান হওয়া, এই দু’টি শর্ত জুমার জন্য নির্দিষ্ট নয় বরং প্রত্যেক ইবাদত ফরয হওয়ার জন্য বিবেকবান ও প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া শর্ত।❁

[৭] দৃষ্টি শক্তি সম্পন্ন হওয়া, ❁ 

[৮] হাটতে সক্ষম হওয়া, ❁ 

[৯] বন্দী না হওয়া, ❁ 

[১০] বাদশা (শাসক) অথবা চোর, ডাকাত ইত্যাদি কোন প্রকারের জালিমের ভয়ের আশংকা না থাকা।❁

[১১] ঝড়, তুফান, শিলাবৃষ্টি ও ঠান্ডা ইত্যাদির ক্ষতির সম্ভাবনা হতে মুক্ত হওয়া অর্থাৎ তা এতটুকু পরিমাণ হওয়া যাতে ক্ষতি হওয়ার সত্যিই সম্ভাবনা রয়েছে। [বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭৭০-৭৭২ পৃষ্ঠা]

যার উপর নামায ফরয কিন্তু কোন শরয়ী ওযরের কারণে জুমার নামায ফরয হয়নি, তাকে অবশ্যই জুমার দিন যোহরের নামায আদায় করে দিতে হবে। কেননা, জুমার দিন জুমার নামায আদায় করতে না পারলে, কিংবা শর্ত পাওয়া না যাওয়ার কারণে জুমার নামায ফরয না হলে, যোহরের নামায মাফ হবে না। তা অবশ্যই আদায় করতে হবে। 



__________________________
‘নামাযের আহকাম’ বইয়ের ২৮০-২৮১ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। বইটির পিডিএফ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। আরো ইসলামিক বই পেতে এখানে যান