• সকল হাজী সাহেবগণ আইন অনুযায়ী সফরের সকল কাগজপত্র অনেক আগে থেকে প্রস্তুত করে নিবেন, যেমন- “হেল্‌থ সার্টিফিকেট” (সুস্থ্যতার সনদ) এটা আপনাকে হাজ্বী ক্যাম্পে মারাত্মক জ্বর, জন্ডিস, এবং পোলিও ভ্যাকসিন ইত্যাদি রোগের টিকা দেয়ার পর প্রদান করা হবে। আর এতে কোন ঘাটতি হলে আপনাকে বিমানে আরোহন করা থেকে বাঁধা প্রদান করা যেতে পারে। নতুবা জিদ্দা শরীফের বিমান বন্দরেও আপনার বাঁধা আসতে পারে। 

• প্রতিরক্ষা টিকা হজ্বে যাওয়ার ২/৪ দিন পূর্বে দেওয়াটা বিশেষ কোন উপকার সাধন করেনা। ১৫ দিন পূর্বে দেওয়াটা খুবই উপকারী। নতুবা বরকতময় সফরের তড়িঘড়িতে খুব মারাত্মক বরং জীবন বিনাশী রোগের সম্ভাবনা রয়েছে’। 

• সরকারীভাবে বাধ্য না করলেও নিউমোনিয়া ও হেপাটাইটিস রোগের টিকা দিয়ে যাওয়াটা খুবই উত্তম। এই ডাক্তারী ব্যবস্থাপনাকে বোঝা মনে করবেন না। এতে আপনারই কল্যাণ রয়েছে। 

• অধিকাংশ ট্রাভেল এজেন্টরা অথবা হজ্বের ব্যবস্থাপকরা কোন প্রকারের ডাক্তারি ব্যবস্থাপনা ছাড়া ঘরে বসেই “হেলথ্‌ সার্টিফিকেট” ফরম দিয়ে দেয়। যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর হওয়ার সাথে সাথে এক প্রকারের ধোঁকা, হারাম কাজ এবং জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার মত কাজ। ঐ সকল ট্রাভেল এজেন্ট, ইচ্ছাকৃতভাবে ফরমে স্বাক্ষরকারী ডাক্তার এবং জেনে বুঝে ঐ মিথ্যা সার্টিফিকেট গ্রহণকারী হাজী (অথবা ওমরাকারী) সকলই গুনাহগার এবং জাহান্নামের আগুনের হকদার হবেন। যারা এ সমস্ত কাজ করেছেন, তারা সবাই সত্যিকার তাওবা করে নিন।






───────────
রফিকুল হারামাঈন’ কিতাবের ২৮ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। কিতাবটি ডাউনলোড করুন। আরো ইসলামিক কিতাব পেতে এখানে যান