প্রথমে তায়াম্মুমের নিয়্যত করুন (অন্তরের ইচ্ছাই হলো নিয়্যত। তবে মুখে উচ্চারণ করলেও ভাল। যেমন বলবেন: আমি অযুহীনতা কিংবা গোসলহীনতা কিংবা উভয়টি হতে পবিত্রতা অর্জনের জন্য এবং নামায শুদ্ধ হওয়ার জন্য তায়াম্মুম করছি।) অতঃপর بِسْمِ الله পড়ে উভয় হাতের আঙ্গুল সমূহ ফাঁক রেখে উভয় হাত মাটি জাতীয় কোন পবিত্র বস্তু যেমন-পাথর, চুনা, ইট, দেয়াল, বালি ইত্যাদিতে মেরে প্রথমে উভয় হাত সামনের দিকে নিয়ে তারপর পিছনের দিকে ফিরিয়ে আনবেন। হাতে যদি ধূলা-বালি বেশি লেগে থাকে তা ঝেড়ে নেবেন। অতঃপর উভয়হাত দ্বারা সমস্ত মুখমন্ডল এভাবে মাসেহ করবেন যাতে মুখমন্ডলে কোন অংশই বাদ না যায়। যদি চুল পরিমাণ স্থানও মাসেহ থেকে বাদ যায় তাহলে তায়াম্মুম হবে না। অনুরূপভাবে দ্বিতীয়বার মাটিতে হাত মেরে তা দ্বারা উভয় হাতের নখ থেকে কনুই সহ মাসেহ করবেন। (হাত মাসেহ করার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো, বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ব্যতীত বাকী চারটি আঙ্গুল একত্রিত করে ঐগুলোর পেট ডানহাতের পিঠের উপর রাখবেন। তারপর ঐ চারটি আঙ্গুলের পেট দ্বারা ডান হাতের আঙ্গুল সমূহের অগ্রভাগ হতে কনুই ডানহাতের পিঠ মাসেহ করবেন। অতঃপর বামহাতের তালু দ্বারা কনুই হতে কব্জী পর্যন্ত ডানহাতের পেট মাসেহ করবেন এবং বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের পেট দ্বারা ডানহাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের পিঠ মাসেহ করবেন। অনুরূপভাবে ডান হাত দ্বারা বাম হাতও মাসেহ করবেন। আর যদি একবারেই এক হাতের সম্পূর্ণ তালু ও আঙ্গুল সমূহ দ্বারা অপর হাত মাসেহ করে নেন তখনও মাসেহ শুদ্ধ হবে। চাই কুনই হতে আঙ্গুল পর্যন্ত মাসেহ করুন বা আঙ্গুল হতে কনুই পর্যন্ত মাসেহ করুন সর্বাবস্থায় মাসেহ শুদ্ধ হবে। তবে এভাবে মাসেহ করা সুন্নাতের বিপরীত। তায়াম্মুমের মধ্যে মাথা ও পা মাসেহ করার কোন বিধান নেই। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩৫৩, ৩৫৪, ৩৫৬ পৃষ্ঠা)
__________________________
‘নামাযের আহকাম’ বইয়ের নং ৯৫ পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। বইটির পিডিএফ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। আরো ইসলামিক বই পেতে এখানে যান।
‘নামাযের আহকাম’ বইয়ের নং ৯৫ পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। বইটির পিডিএফ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। আরো ইসলামিক বই পেতে এখানে যান।

0 Comments