সৌভাগ্যবান হাজী সাহেবান! জামারাতে পাথর নিক্ষেপের সময় বিশেষতঃ দশ তারিখের সকাল বেলায় হাজী সাহেবানদের বিরাট জমায়েত হয়ে থাকে, আর অনেক সময় সেখানে লোকেরা চাপা পড়ে যায়। সগে মদীনা عُفِىَ عَنْهُ (লিখক) ১৪০০ হিজরীতে দশ তারিখের সকাল বেলায় মীনা শরীফে নিজ চোখে এই হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখেছি যে, লাশ সমূহকে উঠিয়ে উঠিয়ে এক সারিতে শোয়ায়ে রাখা হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে স্থানকে অনেক প্রশস্থ করা হয়েছে। নিচের অংশ ছাড়াও উপরে আরো ৪ তলা বিল্ডিং তৈরী করা হয়েছে। তাই ভীড় এখন বহুভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। নিম্নে কিছু সতর্কতা উপস্থাপন করছি।
﴾১﴿ ১০ তারিখ সকাল বেলা খুব বেশী ভীড় থাকে। দুপুর ৩/৪ টা বাজে ভীড় অনেকাংশে কমে যায়। এখন যদি ইসলামী বোনেরাও সাথে থাকে, তারপরও কোন অসুবিধা নেই। উপর তলা থেকে রমী করলে ভীড় আরো খুব কম পাবেন এবং খোলা বাতাসও মিলবে।
﴾২﴿ রমী করার সময় লাঠি, ছাতা আরো অন্যান্য জিনিসপত্র সাথে নিয়ে যাবেন না। কর্তৃপক্ষের লোকেরা তা কেড়ে নিয়ে রেখে দেয়। পরে তা ফিরে পাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার। হ্যাঁ! ছোট স্কুল ব্যাগ যদি কোমরে বাঁধা অবস্থায় থাকে, তাহলে অনেক সময় তা নিয়ে যেতে দেয়। কিন্তু ১০ তারিখের রমীতে এগুলোও না নিয়ে যেতে পারলে ভাল। কারণ যদি আটকে ফেলে, তবে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। ১১ ও ১২ তারিখের রমীতে ছোট খাটো জিনিস নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁধা তুলনামূলক কম থাকে।
﴾৩﴿ হুইল চেয়ারে করে যারা রমী করবেন তাদের জন্য উপযুক্ত সময় হল তিনো দিন আসরের নামাযের পর।
﴾৪﴿ কংকর নিক্ষেপের সময় যদি কোন জিনিস হাত থেকে পড়ে যায়, অথবা আপনার সেন্ডেল বা জুতা যদি পা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে বলে অনুভব হয়, তাহলে ভীড়ের মধ্যে কখনও ঝুঁকবেন না।
﴾৫﴿ যদি কিছু বন্ধু মিলে রমী তথা কংকর নিক্ষেপ করতে চান, তাহলে পূর্ব থেকেই ফিরে এসে একত্রিত হওয়ার জন্য নিকটবর্তী কোন একটি স্থান নির্ধারণ করে উহার চিহ্ন স্মরণ রাখুন। নতুবা বন্ধুদের থেকে পৃথক হয়ে গেলে পেরেশানীর সীমা থাকবে না। ভিড়ের অন্যান্য সকল স্থানে এই কথাটির খুব বেশী স্মরণ রাখবেন! সগে মদীনা عُفِىَ عَنْهُ (লিখক) এমন এমন বৃদ্ধ হাজী সাহেব সাহেবানদেরকে হারিয়ে যেতে দেখেছি যে, এ অসহায়দের নিজেদের মুয়াল্লিমের নামও জানা থাকে না। অতঃপর তারা পরীক্ষায় পড়ে যায়।

0 Comments