﴾১﴿ যখন দ্বিপ্রহর নিকটবর্তী হবে তখন গোসল করে নিন। ইহা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। যদি গোসল না করেন, তাহলে কমপক্ষে ওযু অবশ্যই করবেন। [বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১১২৩ পৃষ্ঠা]
﴾২﴿ আজ অর্থাৎ ৯ই যুলহিজ্জা এর দ্বিপ্রহর ঢলে পড়া থেকে (অর্থাৎ যোহরের নামাযের ওয়াক্ত শুরু হওয়া) শুরু করে ১০ তারিখের সুবহে সাদিক পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়টুকুতে যে কেউ ইহরামের সাথে এক মুহুর্তের জন্যও পবিত্র আরাফাতের ময়দানে প্রবেশ করল সে ‘হাজী’ হয়ে গেল। আজকের দিনে এখানে অবস্থান করাটা হজ্জের সবচেয়ে বড় রুকন।
﴾৩﴿ আরাফাত শরীফে যোহরের সময়ে যোহর ও আসরের নামাযকে মিলিয়ে এক সাথে পড়া হয়। কিন্তু এর কিছু শর্ত আছে। (আপনারা নিজ নিজ তাবুতে যোহরের নামায যোহরের সময়ে এবং আসরের নামায আসরের সময়ে জামাআতের সাথে আদায় করুন।)
﴾৪﴿ আজ হাজীদেরকে রোজা বিহীন অবস্থায় থাকা এবং সর্বদা ওযু অবস্থায় থাকা সুন্নাত।
﴾৫﴿ জবলে রহমতের নিকটে যেখানে কালো পাথরের কার্পেট রয়েছে সেখানে অবস্থান করা উত্তম।
﴾৬﴿ কিছু কিছু লোক ‘জবলে রহমতের’ একেবারে উপরে উঠে যায় এবং সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রুমাল নাড়াতে থাকে, আপনি এই রকম করবেন না এবং তাদের ব্যাপারেও অন্তরে খারাপ ধারণা আনবেন না। আজকের দিন অন্যের দোষ-ত্রুটি দেখার দিন নয় বরং নিজের দোষ-ত্রুটির উপর লজ্জিত হওয়া এবং কান্নাকাটি করার দিন।
﴾৭﴿ উকুফ তথা অবস্থানের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম। (অর্থাৎ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আরাফাতে অবস্থান করা উত্তম।) কিন্তু এটা শর্ত বা ওয়াজিব নয়। বসে থাকলেও উকুফ (অবস্থান) হয়ে যাবে। উকুফের ক্ষেত্রে নিয়্যত করা ও ক্বিবলামুখী হওয়া উত্তম।
﴾৮﴿ নামাযের পর পরই উকুফ (অবস্থান) করা সুন্নাত। [বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১১২৪ পৃষ্ঠা]
﴾৯﴿ মওকিফে (অবস্থান স্থলে) সর্বপ্রকারের ছায়া থেকে এমনকি (ছায়া লাভের উদ্দেশ্যে) ছাতা লাগানো থেকেও বিরত থাকুন। হ্যাঁ যে একান্তভাবে অপারগ, বাস্তবে সে অক্ষমই। [প্রাগুক্ত, ১১২৮ পৃষ্ঠা] ছাতা লাগালে পুরুষেরা এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন, যেন মাথার সাথে স্পর্শ না হয়। অন্যথায় কাফ্ফারার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।

0 Comments