পানাহারের কোন বস্তুতে কোন মাছি পড়লে তখন ঐ খাবার ফেলে দেয়াটা অপচয় ও গুনাহ্। মাছিকে তাতে ডুবিয়ে বের করে ফেলে। দিন ও ঐ খাবার বিনা দ্বিধায় ব্যবহার করুন। যেমন:
মদীনার তাজেদার, নবীকুল সরদার, হুযুরে আনওয়ার ﷺ ইরশাদ করেন: “ যখন খাবারে মাছি পতিত হয়, তখন সেটাকে ডুবিয়ে দাও (ও ফেলে দাও) কারণ সেটার এক ডানায় শেফা ও অন্যটাতে রােগ রয়েছে। খাবারে পড়ার (বসার) সময় সে প্রথমে রােগওয়ালা ডানাটি রাখে। তাই সম্পূর্ণ (মাছি) টিকেই ডুবিয়ে দাও।” [আবু দাউদ শরীফ, ৩/৫১১ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩৮৪৪]
বিজ্ঞানের স্বীকারােক্তি:
প্রিয় রাসুল, মা আমেনার বাগানের সুবাসিত ফুল, রাসুলে মাকবুল ﷺ এর দৃষ্টির প্রতি জান কুরবান! আমাদের প্রিয় আক্বা, উভয় জাহানের দাতা, রাসুলুল্লাহ্ ﷺ যা পর্যবেক্ষণ করে নিয়েছিলেন এখন বিজ্ঞানও সেটা স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছে। যেমন বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেন যে, মাছির এক ডানায় বিপদজনক ভাইরাস (VIRUS) ও অন্যটায় ভাইরাস প্রতিরােধক (ANTIVIRUS) জীবাণু থাকে। মাছি যখন কোন খাদ্য অথবা পানীয় অর্থাৎ চা, দুধ বা পানি ইত্যাদিতে পড়ে তখন ভাইরাসযুক্ত ডানা প্রথমে ফেলে, যার দরুন খাদ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে আর আহারকারী রােগ ব্যাধির শিকার হতে পারেন। এখন যদি মাছি ডুবিয়ে দেন তবে অন্য ডানার প্রতিরােধক ভাইরাস (জীবাণু) ঐ বিপদজনক জীবাণুকে ধ্বংস করে ফেলে আর খাবারের ভাইরাস ক্ষতিমুক্ত হয়ে যায়।
___________________________
‘ফয়যানে সুন্নাত’ কিতাবের: ২৭৭ পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। কিতাবটি ডাউনলোড করুন। আরো বই পেতে এখানে যান।

0 Comments