গোসল ফরয হওয়ার পাঁচটি কারণ
[১] যৌন উত্তেজনার ফলে বীর্য স্বস্থান থেকে পুরুষাঙ্গ বা যোনিপথ দিয়ে বের হলে। [২] স্বপ্নদোষ হলে অর্থাৎ ঘুমন্ত অবস্থায় বীর্যপাত হলে। [৩] মহিলার যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ তথা কর্তিত অংশ প্রবেশ করালে। কামোত্তেজনা বশত হোক বা না হোক এবং বীর্যপাত হোক বা না হোক সর্বাবস্থায় উভয়ের উপর গোসল ফরয। [৪] হায়েজ তথা ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পর, [৫] নিফাস তথা সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর যে রক্ত বের হয় তা বন্ধ হওয়ার পর। [বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩২১-৩২৪ পৃষ্ঠা]
নিফাসের প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা
অধিকাংশ মহিলাদের মধ্যে এটা প্রসিদ্ধ যে, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মহিলারা চল্লিশ দিন পর্যন্ত আবশ্যিকভাবে অপবিত্র থাকে। এটা সম্পূর্ণ ভুল, বিস্তারিত ব্যাখ্যা লক্ষ্য করুন: সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মহিলাদের যে রক্ত বের হয় তাকে নিফাস বলে। এর সর্বোচ্চ সময়সীমা চল্লিশ দিন। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার চল্লিশ দিন পরও যদি ঐ রক্ত দেখা যায় তাহলে তা রোগ হিসেবে বিবেচিত হবে। সুতরাং চল্লিশ দিন পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথেই মহিলাদেরকে গোসল করে পাক পবিত্র হতে হবে। আর যদি চল্লিশ দিন পূর্ণ হওয়ার আগেই ঐ রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে যায়, চাই সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার এক মিনিট পরেই বন্ধ হোক না কেন, বন্ধ হওয়ার সাথে সাথেই গোসল করে নিতে হবে এবং নামায রোযা যথারীতি পালন করতে হবে। আর যদি চল্লিশ দিনের ভিতরে রক্ত একবার বন্ধ হয়ে পুনরায় আবার দেখা যায়, তাহলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে শেষ রক্ত বন্ধ হওয়ার সময় পর্যন্ত সম্পূর্ণ সময়ই নিফাসের সময়সীমাতে গণ্য হবে। যেমন সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর দুই মিনিট পর্যন্ত রক্ত দেখা গিয়েছিল তারপর বন্ধ হয়ে গেলো এবং সন্তানের মা গোসল করে পবিত্র হয়ে নামায-রোযা ইত্যাদি যথারীতি পালন করতে লাগলো। চল্লিশ দিন পূর্ণ হওয়ার মাত্র দুই মিনিট বাকী ছিলো পুনরায় আবার রক্ত দেখা গেলো, তাহলে পূর্ণ চল্লিশ দিনই নিফাসের সময়সীমাতে গণ্য হবে এবং চল্লিশ দিন যাবৎ যে নামায রোযা পালন করা হয়েছিল তা সবই বৃথা যাবে। সে সময়ের মধ্যে উক্ত মহিলা কোন ফরয বা ওয়াজীব নামায বা রোযা কাযা দিয়ে থাকলে তা পুনরায় আদায় করে দিতে হবে। [ফতোওয়ায়ে রযবীয়া হতে সংকলিত, ৪র্থ খন্ড, ৩৫৪-৩৫৬ পৃষ্ঠা]
__________________________
‘নামাযের আহকাম’ বইয়ের ৮১-৮২ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। বইটির পিডিএফ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। আরো ইসলামিক বই পেতে এখানে যান।
‘নামাযের আহকাম’ বইয়ের ৮১-৮২ নং পৃষ্ঠা হতে সংগৃহীত। বইটির পিডিএফ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। আরো ইসলামিক বই পেতে এখানে যান।
0 Comments