নবী করীম صَلَّى اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দুটি ইরশাদ: 

﴾১﴿ আরজ করা হল; রমীয়ে জিমার’এ (তথা কংকর নিক্ষেপে) কী সাওয়াব রয়েছে? তিনি صَلَّى اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  ইরশাদ করলেন: “তুমি তোমার রব এর নিকট এর সাওয়াব তখনই পাবে, যখন তোমার এর (অর্থাৎ সাওয়াবের) খুব বেশী দরকার পড়বে।” (মু’জাম আউসাত, ৩য় খন্ড, ১৫০ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৪১৪৭) 

﴾২﴿ “জামরাতে রমী করা তোমার জন্য কিয়ামতের দিন নূর হবে।” (আত্‌তরগীব ওয়াত্‌তারহীন, ২য় খন্ড, ১৩৪ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৩) 

﴾৩﴿ সাতটি কংকরের চেয়ে কম নিক্ষেপ করা জায়েজ নেই। যদি শুধুমাত্র তিনটি কংকর নিক্ষেপ করে অথবা মোটেও নিক্ষেপ না করে তাহলে ‘দম’ ওয়াজিব হবে, আর যদি চারটি কংকর নিক্ষেপ করে তাহলে অবশিষ্ট প্রতিটি কংকরের পরিবর্তে ‘সদকা’ দিতে হবে। (রদ্দুল মুহতার, ৩য় খন্ড, ৬০৮ পৃষ্ঠা) 

﴾৪﴿ যদি সমস্ত কংকর এক সাথে নিক্ষেপ করেন তাহলে ইহা সাতটি ধরা হবে না বরং একটি কংকর বলে গণ্য করা হবে। (রদ্দুল মুহতার, ৩য় খন্ড, ৬০৭ পৃষ্ঠা) 

﴾৫﴿ কংকর সমূহ মাটি জাতীয় পদার্থ হতে হবে। (যেমন: কংকর, পাথর, চুনা, মাটি) যদি কোন প্রাণীর বিষ্টা নিক্ষেপ করে তাহলে রমী হবে না। (দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার, ৩য় খন্ড, ৬০৮ পৃষ্ঠা)         

﴾৬﴿ অনুরূপভাবে কোন কোন লোক ‘জামারাতের’মধ্যে পাত্র, জুতা ইত্যাদি নিক্ষেপ করে, ইহাও সুন্নাত নয়, আর কংকরের পরিবর্তে জুতা অথবা ডিব্বা ইত্যাদি যদি নিক্ষেপ করে তাহলে রমী আদায় হবে না।  



﴾৭﴿ রমীর জন্য উত্তম এটাই হল যে, মুজদালিফা হতে কংকরসমূহ নিয়ে যাবেন। তবে ইহা আবশ্যক নয়। দুনিয়ার যে কোন অংশের কংকর সমূহ নিক্ষেপ করুন না কেন রমী সঠিক ভাবে আদায় হয়ে যাবে। 

﴾৮﴿ দশ তারিখের রমী তথা পাথর নিক্ষেপ সূর্য উদয় হতে শুরু করে সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া পর্যন্ত (অর্থাৎ যোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত) সময়ে করা সুন্নাত, আর সূর্য ঢলে পড়া হতে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত রমী করা মুবাহ (অর্থাৎ জায়েজ), আর সূর্য অস্ত যাওয়া হতে সুবহে সাদিক পর্যন্ত সময়ে রমী করা মাকরূহ। যদি কোন অপরাগতার কারণে হয়, যেমন রাখাল যদি রাতে রমী করে তাহলে মাকরূহ হবে না। (প্রাগুক্ত, ৬১০)